সাঁঝবাতি দহন
- জয়িতা দে সরকার - মন আমি'র কবিতাগুচ্ছ ৩০-০৪-২০২৪

লাশকাটা ঘরে পড়ে আছে মোর- ঝলসানো দেহখানি।
জ্বালা জুড়ালো দেহ ও মনের
আমি সে কথাই মানি।।
এই যদি শেষে পরিনতি হয়-
'পরিনীতা' কেন হবো!
'মেয়ের-কুলে' জন্ম বলেই-
সব জ্বালা সয়ে যাবো?

আমি 'সাঁঝবাতি' ছিলাম আদরে
বাবা-মা'র সংসারে,
কিছু অভাবের 'দিনগুলো' ছিল
তবু 'সুখ' ছিল ঘরে।
কিছুদিন আগে 'গোধুলী-লগ্নে'হলো
'সিঁদুর-দানে'র খেলা।
আজ সন্ধ্যার শেষ খেলা ছিল
প্রান হারানোর খেলা।।

কোথা থেকে এলো একদল লোভী
'মানুষ' নামক 'দৈত্য'।
'বিয়ে'র 'পনে'র নাম করে ওরা
হরন করে যে 'বিত্ত'।।
সমাজে চলবে 'পন' নেওয়া-দেওয়া
ক্রমশ বাড়বে জ্বালা।
রোজ রোজ শুধু বেড়েই চলবে
এই 'মানুষ খুনে'র পালা।।

বিয়ের পরেও বছর ঘোরে না-
তবু আরও চাই,আরও চাই।
'কি আছে তোদের নিয়ে আয় সব'
বার বার আরও টাকা চাই।।
হায়রে বিধাতা!! এরা কি মানুষ!
ভাবছি একাই বসে,
কোথা থেকে পাবো,কোথায় চাইবো
কে বাঁচাবে আমাকে এসে।।

নিজের শরীরে'র রক্তে-মাংসে
গড়ে তুলছি যাকে,
এই সমাজের ধ্বংসের মাঝে
কি শেখাবো আমি তাকে!!
কোথা থেকে এরা জানতে পেরেছে
ওটি 'সন্তান' নয় 'কন্যা'-
নকল 'দুঃখ' ভরে গেল ঘরে
হলো 'মিথ্যে' জলের বন্যা।।

যখন সেদিন সন্ধ্যার বাতি
সাঁঝ-আকাশে দিলাম,
হঠাত্‍ কিভাবে সেই বাতিতেই
নিজেই ঝলসে গেলাম..!!
কুশ্রী হাসির বিশ্রী আওয়াজ
আসছে ভেসে কানে,
আমার কান্না চেপে দিতে
ওরা ব্যস্ত মনে-প্রানে।।

জোত্‍স্না রাতেও অন্ধকার-
শীতল ঘরের কোনে,
মুক্তির স্বাদ পেয়েছি আমি
আজকে মনে-প্রানে।
দু-দুটো প্রান একসাথে নিলো
'মান' 'হুঁস' হীন মানুষ।
এদের মাঝে বাঁচতে চাইনা-
'সাঁববাতি' হোক 'ফানুস'।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।